সেনাবাহিনীর নজরদারিতে সমন্বয়করা: কিছু বড় ঘটনা কি আসন্ন?
তারিখ: জানুয়ারি ২, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ সমন্বয়কদের উপর সেনাবাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সংগঠকদের চলাফেরা, যোগাযোগ এবং কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
আন্দোলনের পটভূমি
গত কয়েক মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশের রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমঅধিকার দাবিতে গড়ে ওঠা এই আন্দোলন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদেরও আকৃষ্ট করেছে।
সাম্প্রতিককালে আন্দোলনের নেতাদের ফেসবুক আইডি অদৃশ্য হওয়া এবং হ্যাকারদের হামলার অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।
সেনাবাহিনীর উপস্থিতি
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠকের গতিবিধি সেনাবাহিনীর নজরে থাকার অর্থ হতে পারে—সরকার আন্দোলনকে ঘিরে সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমন্বয়ক বলেন,
"আমরা লক্ষ্য করেছি, গত কয়েকদিন ধরে আমাদের বাসা, অফিস এবং কর্মক্ষেত্রে সন্দেহজনক কিছু ঘটনা ঘটছে। মনে হচ্ছে আমাদের সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।"
কিছু বড় ঘটনা কি আসন্ন?
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সেনাবাহিনীর নজরদারির এই বৃদ্ধি হয়তো আন্দোলনের সম্ভাব্য শক্তিশালী কার্যক্রম বা বড় কোনো ঘটনার পূর্বাভাস হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. রফিকুল ইসলাম জানান,
"সেনাবাহিনী সাধারণত তখনই সরাসরি নজরদারি বাড়ায়, যখন রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়ে। এর মানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সামনে আসতে পারে।"
নেতাদের বক্তব্য
আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান,
"আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম সবসময়ই স্বচ্ছ এবং আইনসম্মত। কিন্তু সাম্প্রতিক নজরদারি আমাদের জন্য উদ্বেগের কারণ। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী।"
সরকারের অবস্থান
সরকারি কোনো সূত্র থেকে সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপের বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি। তবে, অনেকেই মনে করছেন, আন্দোলনের সম্ভাব্য বিস্তার ঠেকাতেই এ ব্যবস্থা।
জনমনে উদ্বেগ
সাধারণ মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সুরক্ষার স্বার্থে, আবার কেউ একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল