Header Ads Widget

ভোটের বাক্সের হিসাব মেলাতে কৌশল সাজাচ্ছে বিএনপি, দুশ্চিন্তার কারণ হবে না ইসলামী জোট।

নির্বাচনে এক আসনে দলীয় একাধিক প্রার্থীর জটিলতা নিরসনে কৌশল সাজাচ্ছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ জানান, এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হবে তৃণমূলকে। ভোটযুদ্ধে জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলো যদি একাট্টাও হয়, তাকে হুমকি মনে করছে না তিনি। 

রাজনীতির মাঠে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচল আর ধোঁয়াশা অনেকটাই কেটে গেছে লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকে। এখন অপেক্ষা ভোটের ক্ষণগণনায়। ব্যালট বাক্সের হিসাব মেলাতে অভ্যন্তরীণ সমীকরণ আঁকছে রাজনৈতিক দলগুলো।

বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে কি পরিকল্পনা বিএনপির? দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদের কাছে প্রশ্ন, এক আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলে বিএনপি তা সামাল দেবে কিভাবে? জানান, প্রার্থী নির্ধারণে দিক নির্দেশনা দেয়া হবে হাইকমান্ড থেকে। আশা করেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরা দেশ জাতির স্বার্থে এক থাকবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তো নিশ্চয়ই বিএনপির ভোটটা ভাগ হয়ে যাবে, কম হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী কিছুটা হলেও ভোট পাবে। সুতরাং আমরা আশা করি যে, যারা বিএনপির সদস্য সকলে দলের মনোনীত প্রার্থীকে সর্বোচ্চ সমর্থন দিবে। আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াকে সমর্থন করি না। 

যেহেতু গণহত্যার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের। নির্বাচনে দলটির অংশগ্রহণ নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন। স্বভাবতই এবারের ভোট যুদ্ধ হবে বিগত সময়ে বিএনপির সঙ্গে রাজনীতির মাঠে থাকা অন্য শরিকদের মধ্যে। সেখানে জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর জোট সম্ভাবনাকে হুমকি হিসেবে দেখছেন না বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন এই নেতা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিতে জানে। তারা বাস্তবতা বিবর্জিত নয়। তারা বিভিন্ন ফ্যাক্টর কনসিডার করেই ভোট দিবে। সব ইসলামী দল ঐক্যবদ্ধভাবে এক মার্কা নিয়ে যে নির্বাচন করার চিন্তাভাবনা করছে এটা বাংলাদেশে সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। আর তারা এক হলেও বিএনপির জন্য খুব একটা চিন্তার কারণ হবে বলে আমরা মনে করি না। 

দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় আগামী নির্বাচনকে নতুন সূচনা হিসেবে দেখছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ।