বাংলাদেশে বহুদিন ধরেই একটি প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসে — ছাত্রদলে কি শুধু ছাত্ররাই থাকতে পারে? কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে ফেলে, চাকরি খোঁজে, কিংবা সংসার জীবন শুরু করে দেয়, তাহলে কি সে ছাত্র রাজনীতি করতে পারবে না? বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-এর মতো সংগঠনগুলোর ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
🎓 লেখাপড়া শেষ, রাজনীতি কি শেষ?
ছাত্র রাজনীতি মানে কেবল ছাত্রাবস্থায় ব্যানার ধরে হাঁটা না — এটি একধরনের আদর্শচর্চা, যা একেকজনের জীবনে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়েও ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন, দলের সংগঠনকে পরিচালনা করেন, নতুনদের গড়েন।
👰 বিয়ে করলেই রাজনীতি শেষ না
বিয়েটা একটা সামাজিক ঘটনা, রাজনীতি একটা নৈতিক দায়িত্ব। অনেকে বলেন, "বিয়ের পর ছাত্রদলে থাকা মানে অনৈতিক কিছু।" আসলে তা নয়। যদি আপনার চিন্তা, জীবনযাপন ও কাজের কেন্দ্রবিন্দু থাকে শিক্ষার্থী সমাজ এবং সংগঠনের স্বার্থে, তাহলে আপনি ছাত্রদলের যোগ্যই থাকেন।
💡 যারা সত্যিকারের কর্মী, তাদের ভুলে যাবেন না
"খালি পকেটে প্রোগ্রামে গিয়ে সারাদিন না খে'য়ে পায়ের জুতা রাজপথে রেখে আসা কর্মীকে খুঁ'জে বের করুন। তাদের মূল্যায়ন করুন। তবেই দেশটা সোনার বাংলা হবে।"
রাজনীতির মাঠে যারা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে, তাদের মূল্যায়ন না করলে দল কিংবা আন্দোলন কোনোদিনই ফলপ্রসূ হবে না। সেলফি রাজনীতি নয়, আদর্শিক রাজনীতিই সময়ের দাবি।
✅ সঠিক রাজনীতির জন্য ৫টি উপদেশ:
- নিজের লক্ষ্য ও আদর্শ স্পষ্ট রাখুন
- সাংগঠনিক নিয়ম-কানুন জানুন ও মানুন
- পুরনো কর্মীদের অভিজ্ঞতা ও কষ্টকে শ্রদ্ধা করুন
- দলীয় স্বার্থের আগে দেশকে ভাবুন
- জনগণের সমস্যা বুঝে রাজনীতি করুন
✍️ লেখা: ময়মনসিংহের জনতার কণ্ঠ
📍 “সত্য বলুন, সাহসের সঙ্গে।”
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল