করিম সরকার ও ফারুক সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণ।
ফুলবাড়িয়া আজ শোকে স্তব্ধ। গাজীপুরে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে ফুলবাড়িয়ারই সন্তান, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে। এই ঘটনা শুধু একটি পরিবারকে নয়, পুরো অঞ্চলকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে, দিনের আলোয়, এভাবে একজন সাংবাদিককে হত্যা—এ শুধু একটি ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, এটি আমাদের গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি সরাসরি আঘাত। ফুলবাড়িয়ার মানুষ আজ একক কণ্ঠে বলছে—এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার চাই। আর এই দাবি পৌঁছে দিতে চাই আমাদের এলাকার রাজনৈতিক নেতৃত্বদানকারী দুই প্রার্থী—জননেতা আব্দুল করিম সরকার ও ফারুক সাহেবের কাছে। আপনারা কি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন।
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফুলবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও ন্যায়বিচারের দাবি
ঘটনার বিবরণ
আজ ফুলবাড়িয়া উপজেলা সংবাদকর্মীরা সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জোরালোভাবে দাবি জানান—যারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
নি’হত আসাদুজ্জামান তুহিন ছিলেন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তুহিন পরিবার নিয়ে গাজীপুরের চন্দ্রা চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করতেন।
হত্যার পেছনের ঘটনা
স্থানীয় সূত্র ও সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়—ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি নারী-সম্পর্কিত বিরোধকে কেন্দ্র করে।
ওই সময়ে সাংবাদিক তুহিন ঘটনাস্থলে পাশের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন এবং একটি ভিডিও ধারণ করছিলেন।
সন্ত্রাসীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে ভিডিও মুছে ফেলতে বলে। কিন্তু তিনি ভিডিও ডিলিট করতে অস্বীকৃতি জানালে, প্রথমে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় এবং ইট দিয়ে পায়ে আঘাত করা হয়।
পরে, একই সন্ত্রাসীরা রাতে পুনরায় আক্রমণ চালিয়ে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড গাজীপুরে সংঘটিত হলেও এর শোকের ছায়া নেমে এসেছে ফুলবাড়িয়া এবং সমগ্র ময়মনসিংহে।
সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি প্রশ্ন
স্বাধীন বাংলাদেশের মতো একটি রাষ্ট্রে দিনের বেলায় এভাবে একজন মানুষকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা—কোনও সভ্য রাষ্ট্রে অকল্পনীয়।
যেখানে গণতন্ত্র অনুপস্থিত, সেখানে মানুষের জীবন সুরক্ষিত থাকে না—এই ঘটনা তার নির্মম প্রমাণ।
এখন কেউ আর নিরাপদ নয়। যেন মন চাইলে মানুষকে মেরে ফেলার এক ভয়ঙ্কর সংস্কৃতি গড়ে উঠছে।
আমাদের দাবি
1. এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।
2. আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
3. ফুলবাড়িয়ার রাজনীতিতে সক্রিয় নেতৃবৃন্দ—যেমন আব্দুল করিম সরকার এবং ফারুক সাহেব—আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে স্থানীয় এই সাংবাদিক হত্যার সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখা।
রাজনীতি মানে কেবল ক্ষমতার প্রতিযোগিতা নয়, বরং জনগণের পাশে দাঁড়ানো।
আমরা চাই ফুলবাড়িয়ার প্রতিটি নেতা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিচার প্রক্রিয়ায় সরাসরি সহায়তা করুন।
উপসংহার ও সামাজিক আহ্বান
এটি শুধু একজন সাংবাদিকের মৃত্যু নয়, এটি সত্য ও স্বাধীন মতপ্রকাশের উপর আঘাত।
এখনই সময় গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার।
ফুলবাড়িয়ার মানুষের একটাই দাবি—“সুষ্ঠু তদন্তে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক”।
ময়মনসিংহের জনতার কন্ঠ – একটি প্রতিবাদী কন্ঠ
আমরা সকল ন্যায়-অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলি, সত্য ঘটনা তুলে ধরি, এবং জনগণের কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করি।
ফুলবাড়িয়ার জনগণের পক্ষ থেকে আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দ্রুত বিচার দাবি করছি।
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন
📌 ওয়েবসাইট: https://www.jonotarkontho.xyz
📌 ফেসবুক পেজ: facebook.com/mymensingherjonotarkontho
📌 ইনস্টাগ্রাম: instagram.com/mymensingherjonotarkontho
#সুষ্ঠুবিচার_চাই #ফুলবাড়িয়া #সাংবাদিকহত্যা #ময়মনসিংহেরজনতারকন্ঠ #JusticeForTuhin
📌 পোস্টটি শেয়ার করুন এবং সচেতনতা।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল