সিনিয়র রিপোর্টার - ময়মনসিংহের জনতার কন্ঠ
বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে সবসময় আলোচিত একটি নাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বর্তমানে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি তার দেশে ফেরা নিয়ে নানা আলোচনা চললেও সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে — দেশে ফিরবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত একান্তই তারেক রহমানের নিজস্ব।
সরকারের অবস্থান
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন—
> “উনি কখন দেশে আসবেন সেটার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তার। উনি বাংলাদেশের নাগরিক, তাই যে কোনো সময় দেশে আসতে পারেন। যদি আসার সময় ভ্রমণ ডকুমেন্ট বা পাসপোর্ট সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হয়, সরকার অবশ্যই সহায়তা করবে।”
এছাড়া তিনি আরও বলেন,
> “সরকার তারেক রহমানকে ফেরানোর জন্য কোনো প্রক্রিয়া হাতে নেবে না। কারণ, এর মানে দাঁড়াবে সরকার নির্ধারণ করবে তিনি কখন আসবেন। এটা তার নিজের সিদ্ধান্ত।”
পাসপোর্ট বা ভ্রমণ অনুমতি প্রসঙ্গে
লন্ডনের বাংলাদেশ মিশনে তারেক রহমান পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে তৌহিদ হোসেন জানান:
> “আমি জানি না তিনি আবেদন করেছেন কি না। যদি আবেদন করে থাকেনও, তা আমার অগোচরে হয়েছে। তবে উনি দেশে ফিরতে চাইলে প্রয়োজনীয় পাসপোর্ট বা ভ্রমণ অনুমতি প্রদানে সরকার প্রস্তুত।”
আইনগত প্রেক্ষাপট
এরই মধ্যে, আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাতে গুরুত্বপূর্ণ একটি রায় এসেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। তবে হাইকোর্টের কিছু পর্যবেক্ষণ ও রায়ের অংশ সংশোধন ও প্রত্যাহার করা হয়।
রাজনৈতিক তাৎপর্য
এই ঘোষণার মাধ্যমে স্পষ্ট হলো—
সরকারের পক্ষ থেকে তারেক রহমানের দেশে ফেরায় কোনো বাধা নেই।
দেশে ফিরতে চাইলে সব ধরনের কাগজপত্র এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত সহায়তা তিনি পাবেন।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেবল তারেক রহমানের হাতে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ঘোষণার ফলে বিএনপির ভেতরে নতুন আলোচনার জন্ম হতে পারে। বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তার দেশে ফেরা দলটির কৌশলগত অবস্থানকে প্রভাবিত করতে পারে।
উপসংহার
তারেক রহমানের দেশে ফেরা এখন আর সরকারের কোনো উদ্যোগের ওপর নির্ভর করছে না। বরং বিষয়টি সম্পূর্ণ তার নিজের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। তিনি যখন দেশে ফিরতে চাইবেন, সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। এখন সবার নজর সেই প্রশ্নে—কবে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান?
#TariqueRahman #BNP #Politics #Bangladesh #News
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল