সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভাসমান কৃত্রিম এই দ্বীপ আকারে চীনের ফুজিয়ান বিমানবাহী রণতরীর সমান এবং ২০২৮ সালে এটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। দ্বীপটি ৬-৯ মিটার উচ্চতার ঢেউ ও সর্বোচ্চ ১৭ ক্যাটাগরির টাইফুন অর্থাৎ সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ও সহ্য করার উপযোগীভাবে নির্মিত হচ্ছে।
প্রকল্পটির নেতৃত্ব দেয়া একাডেমিশিয়ান লিন ঝংছিন ‘ইকোনমিক ইনফরমেশন ডেইলি’–কে বলেছেন, ‘আমরা নকশা ও নির্মাণ কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার জন্য কাজ করছি। ২০২৮ সালের মধ্যেই পুরোপুরি এই দ্বীপের কার্যক্রম শুরু করাই আমাদের লক্ষ্য।’
সাংহাই জিয়াও তং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াং দেচিংয়ের নেতৃত্বাধীন গবেষক দল লিখেছে, ‘এটি গভীর সমুদ্রের জন্য নির্মিত সব ধরনের আবহাওয়ায় উপযোগী এবং দীর্ঘমেয়াদে বসবাসযোগ্য বৈজ্ঞানিক স্থাপনা।’
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, দ্বীপটির ওপরের অংশে রয়েছে জরুরি শক্তি, যোগাযোগ ও নেভিগেশন নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কক্ষ। তাই এসব স্থানকে পরমাণু বিস্ফোরণ-প্রতিরোধী করা অত্যন্ত জরুরি বলে গবেষকরা উল্লেখ করেছেন।
এই দ্বীপটির অফিশিয়াল নাম ‘ডিপ-সি অল-ওয়েদার রেসিডেন্ট ফ্লোটিং রিসার্চ ফ্যাসিলিটি’। এটি মূলত চীনের ‘গভীরসমুদ্র ভাসমান মোবাইল দ্বীপ’। প্রায় এক দশকের গবেষণা ও পরিকল্পনার পর এই দ্বীপের নির্মাণ শুরু হয়েছে।
দ্বীপটির দৈর্ঘ্য হবে ১৩৮ মিটার এবং প্রস্থ ৮৫ মিটার। আর পানির ওপর প্রধান ডেক থাকবে ৪৫ মিটার উঁচুতে।
চীন এই দ্বীপটিকে বেসামরিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা স্থাপনা বলে বর্ণনা করলেও এর নকশায় উল্লেখ করা হয়েছে সামরিক মানদণ্ড, যা পরমাণু বিস্ফোরণ প্রতিরোধ-সংক্রান্ত নির্দেশনা। অর্থাৎ সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক হামলার পরিস্থিতিতেও এটি টিকে থাকতে সক্ষম, অন্তত এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল