১৯৮৭ সালে ভাই হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হন প্রদীপ সাক্সেনা। এর দুই বছর পর ১৯৮৯ সালে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। কিন্তু সাজা কার্যকর হওয়ার আগেই তিনি প্যারোলে বেরিয়ে উধাও হয়ে যান। উত্তর প্রদেশের বারেলি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের মোরাদাবাদে গা-ঢাকা দেন তিনি। নিজের নাম রাখেন আবদুল রহিম, বড় দাড়িতে মুখ ঢেকে শুরু করেন ড্রাইভারের কাজ। এভাবে তিন দশকেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন তিনি। তবে এতকিছুর পরও তার শেষ রক্ষা হয়নি।
গত ১৬ অক্টোবর অ্যালাহাবাদ হাইকোর্ট চার সপ্তাহের মধ্যে সাক্সেনাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন। মামলার পুরনো নথির ধুল ঝেরে পুলিশ নেমে পড়ে তদন্তে। সাক্সেনার ভাই সুরেশের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত নিজের ধর্ম ও পরিচয় বদলে ফেলেছেন।
আদালত ও পুলিশের নজর এড়িয়ে সাক্সেনা কাজের সূত্রে বারেলিতে ফিরে এসেছিলেন। ভেবেছিলেন এতদিনে পুলিশের কি আর তার কথা মনে আছে। কিন্তু এখানেই ভুল করে ফেলেন প্রদীপ। এ যাত্রায় শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয়।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি প্রদীপ কুমার সাক্সেনা এবং ১৯৮৯ সালেই প্যারোল ভেঙে পালিয়ে যান। পরে মোরাদাবাদে বসবাস শুরু করেন এবং ২০০২ সালে ধর্ম পরিবর্তন করেন আদালতের হাত থেকে বাঁচতে। তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।’
বারেলি শহরের পুলিশ প্রধান মানব পারিখ জানান, ১৯৮৭ সালের মামলায় হত্যা ও চুরির অভিযোগে সাক্সেনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘প্রদীপ সাক্সেনা হাইকোর্টে সাজা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এবং পরে প্যারোল ভেঙে পালিয়ে যান। হাইকোর্ট যখন তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়, তখন আমরা দেখতে পাই তিনি পরিচয় গোপন করেছেন এবং আইন এড়াতে ধর্ম পরিবর্তন করেছেন।’
পুলিশের এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আরও জানান, মোরাদাবাদে সাক্সেনা এক মুসলিম নারীকে বিয়ে করে বসবাস করছিলেন।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল