এদিকে নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। স্ত্রী-কন্যাকে হত্যার জন্য জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা গৃহকর্মী তরুণী আয়েশা আক্তারকেই সন্দেহ করেছেন তিনি।
মামলার এজাহারে আজিজুল ইসলাম লিখেছেন, চারদিন আগে আসামি আমার বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। সোমবার আনুমানিক সকাল ৭টার দিকে আমি আমার কর্মস্থল উত্তরায় চলে যাই। সেখানে থাকা অবস্থায় আমার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। বেলা ১১টায় বাসায় এসে দেখি, আমার স্ত্রী গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আমার মেয়ের গলার ডান দিকে কাটা, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেইন গেটের দিকে পড়ে আছে। মেয়েকে উদ্ধার করে পরিছন্নকর্মী আশিকের মাধ্যমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলার এজাহারে আজিজুল ইসলাম লিখেছেন, চারদিন আগে আসামি আমার বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। সোমবার আনুমানিক সকাল ৭টার দিকে আমি আমার কর্মস্থল উত্তরায় চলে যাই। সেখানে থাকা অবস্থায় আমার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। বেলা ১১টায় বাসায় এসে দেখি, আমার স্ত্রী গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আমার মেয়ের গলার ডান দিকে কাটা, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেইন গেটের দিকে পড়ে আছে। মেয়েকে উদ্ধার করে পরিছন্নকর্মী আশিকের মাধ্যমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা বলেন, সন্দেহে থাকা গৃহকর্মীকে মোটামুটিভাবে শনাক্ত করা গেছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আয়েশা গ্রেপ্তার এড়াতে বারবার অবস্থান পাল্টাচ্ছেন। বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন।
এর আগে, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বাসায় গৃহবধূ লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার শিকার হন।
ঘটনার পর ভবনের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ফুটেজে দেখা গেছে, সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে সাদা সালোয়ার কামিজ, প্রিন্টের ওড়না ও পায়ে কেডস পরে ভবনের সিঁড়ি দিয়ে ধীরস্থিরভাবে নেমে আসছেন এক তরুণী। তার পিঠে ব্যাগ ও মুখে মাস্ক ছিল। এ সময় ভবনের প্রধান প্রবেশপথে বসে ছিলেন তিনজন। ওই তরুণী বের হওয়ার সময় তাদের একজন উঠে দাঁড়িয়ে গেট খুলে দেন। পরে ভবন থেকে বেরিয়ে ওই তরুণী অটোরিকশায় উঠে চলে যান। পুলিশের ধারণা, ওই তরুণী নিহত নাফিসাদের বাসার গৃহকর্মী। বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে হত্যার পর নাফিসার পোশাক পরেই বের হয়ে যায় সে।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল