বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, ‘আসন্ন নির্বাচনের আগে দেশের প্রতিটি শহর, গ্রাম, বাজার ও মহল্লায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনি মিছিলে তিনি জনগণের সঙ্গে থাকবেন। তিনি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে মিছিল অনুষ্ঠিত হবে তাতে ইনশাআল্লাহ আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব।’
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা উল্লসিত স্লোগান দেন, ‘তরেক রহমান আসছে, বাংলাদেশ হাসছে, ২৫ তারিখ সারা দিন, বাংলাদেশের খুশির দিন।’
তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণকে ক্ষমতাবান করার মূল উপায় হলো জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিতামূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য বিএনপি সবসময় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে।’
তিনি আরও সতর্ক করেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেই। দেশের জনগণ জানে, নানা অজুহাত দিয়ে নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনা সেই ষড়যন্ত্রের অংশ। গণতন্ত্রকামী জনগণ এসব ঘটনায় সতর্ক থাকুন।’
তারেক রহমান বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশি-বিদেশি অপশক্তি এখনো সক্রিয়। সময়ের সঙ্গে তাদের রূপ ও চেহারা পরিবর্তিত হলেও চরিত্র অপরিবর্তিত। যারা গণতন্ত্রকামী জনগণকে ভয় দেখাতে চায়, তারা ব্যর্থ হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল এগিয়ে নিয়ে যাব।’
বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ হঠাৎ কোনো ভূখণ্ড নয়। লাখো শহীদের আত্মত্যাগ ও অসংখ্য মা-বোনের সম্মান বিনিময়ে এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের গর্ব। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের লেখা ‘একটি জাতির জন্ম’ সেই ইতিহাসের এক অনন্য দলিল।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘একটি পতিত চক্র নিজেদের হীন স্বার্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছে। তবে পরাজিতদের মুখে বিজয়ের ইতিহাস রচনা লজ্জাজনক এবং ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সমান।’
তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিজয়ের বার্তাকে শুধু স্লোগানে সীমাবদ্ধ রাখবেন না। এর সুফল প্রতিটি নাগরিকের ঘরে পৌঁছে দিন। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আগামী দশকটি হবে রূপান্তরের দশক। আমাদের ‘দেশ গড়ার কর্মসূচি’ সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রস্তুত। দেশের অর্ধেক নারী, চার কোটির বেশি তরুণ, কোটি কোটি কৃষক-শ্রমিক—এই জনসংখ্যার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বাংলাদেশের বিজয়কে সুসংহত করাই আমাদের লক্ষ্য।’
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল